ববি ম্যাম গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেছে সেই সকাল ১১ টায় ৷ ৪ টে বাজতে চলল , এদিকে নির্জরের বুকের ভিতরে ধুক পুক করছে কেজানে ম্যাম মামা কে কি অভিযোগ করে পুলিশ ডাকবে না তো ? আগেই বাক্স প্যাটরা গুছিয়ে নিয়েছে জানে ম্যাম ফিরে এলে মামা কে ডাকবে তার পর গালি গালাজ করে তাড়িয়ে দেবে তাকে কাজ থেকে কেন যে তার মাথা খারাপ হলো ওরকম ৷ আগে এরকম হয় নি কখনো ৷ ঘাটে বউদের কাপড় ছাড়া দেখে ধন দাড়িয়ে যেত তার কিন্তু নিজের সংযম হারায় নি কখনো ৷ চি একটু ভুলে কত বড় ক্ষতি হয়ে গেল তার ৷ ৫ টায় মামের গাড়ি ঢুকলো গেট দিয়ে ৷ রামদিন এর পাশেই মলিন মুখে বসে ছিল নির্জর ৷ যাওয়ার সময় মামা কে খবর দিতে বলে দিলেন রামদিন কে ৷ জামা কাপড় ছেড়ে ম্যাম সুন্দর সারি চড়িয়ে চায়ের কাপ নিয়ে বসেন বসার ঘরে ৷ অখিল ম্যামের সামনে এসে বলে” ডাকতে ছিলেন দিদিমনি ৷” ছল ছল চোখে নির্জর দুরে দাঁড়িয়ে থাকে ৷ ” হ্যান তোমায় নালিশ জনাব বলে !” নির্জরর দিকে তাকিয়ে বলেন ৷ ” কাল্কেরে ওকে বলতেচিলুম ভালো করে কাজ কর , বাবুরা অনেক ভালো বসে , সুনলুনি! তাইরে দেন আমি আর কি বলব !” বলে অখিল মুখ মাটিতে নামিয়ে দেয় ৷ কেন জানিনা অনুতাপ হয় ববির ৷ ছেলেটা ইউং হেন্দসাম , আর তিনিতো তাকে
আমি যখন ক্লাশ সেভেন থেকে এইটে উঠলাম তখন স্কুল বন্ধের মদ্ধ্যে কুচবিহারে বড়দির বাড়ি যাবার সিদ্ধান্ত হোল। মা, ছোড়দি, বড়দা আর আমি। পঞ্জিকা দেখে বাবা দিন ঠিক করে দিলো। আমরা সুভ লগ্নে বেরিয়ে পরলাম। সেখানে পৌছতে বেশ রাত হয়েছিল। দিদিতো আমাদের দেখে কি যে খুশি তা আর বলে বোঝানো সম্ভব নয় একবার মাকে জড়িয়ে ধরে আবার ছোড়দিকে আবার আমাকে ধরে কান্না। আনন্দের বন্যা বয়ে গেল। জামাই বাবু ধমকে উঠলেন কি ব্যাপার ওদের চান খাবারের জোগার করবে নাকি হাউ মাউ করলেই চলবে। জামাই বাবুর এক বৌদি আছে সেখানে দাদা চাকরিতে বদলি হয়ে দিল্লি গেছে তিন মাস আগে। সেই বৌদি এগিয়ে এসে বলল আহা ঠাকুরপো তুমি অমন করোনাতো আমি দেখছি কত দিন পরে বেচারি মা ভাই বোনদের পেয়েছে অমনতো হবেই আমি দেখছি তুমি ভেবোনা। আসেন মাসিমা বলে মাকে চান ঘর দেখিয়ে দিল মা বের হবার পর আমরা একে একে সবাই চান করে ফুল বাবু হয়ে বসেছি সেই বৌদি রান্নার জোগাড়ে ব্যাস্ত দিদি আগেই তাকে সাহায্য করার জন্যে গেছে। রান্না বান্না হয়ে গেলে ডাক এলো জামাই বাবু আমাদের নিয়ে খেতে বসল। ওই পরব শেষ হতেই অনেক রাত হয়ে গেছে এবার শোবার পালা। কার কোথায় হয়েছে জানিনা মানে সে রাত্রে দেখিনি। তবে আমার